
ঢেঁকি ছাঁটা চাল রান্নার প্রণালী:
প্রথমেই বলে রাখি যারা চকচকে চাল পছন্দ করেন তারা এই চাল কিনবেন না, কারণ এই চাল চকচকে হয় না। একমাত্র মিলের পালিশ করা চাল চকচকে হয়। এই চাল তারা কিনবেন যারা খাদ্যগুন সম্পন্ন চাল খোঁজেন। যে চাল যতটা বেশি বাদামি খোসাসহ থাকবে তার খাদ্যগুন তত বেশি। তবে সব চালের বহিরাবরণ (BRAN) বাদামি হয় না। কোন কোন চালের বহিরাবরণ (BRAN)চালের নিজের রঙের মতো হয়। এই চাল বেশি পুষ্টিকর, সেহেতু যাদের হজম ক্ষমতা কম তারা এই চালের ভাত বেশি খাবেন না। শুরুতে অল্প খান এবং ভাল করে চিবিয়ে খাবেন নাহলে সমস্যা হতে পারে। কিছুদিন খেতে খেতে হজম ক্ষমতা বাড়বে তখন বেশি খেতে পারবেন। যাদের দৈহিক পরিশ্রম হয় না তারা রাত্রে এই চাল না খাওয়ার চেষ্টা করবেন কিন্তু যদি খেতে হয় তাহলে অল্প খাবেন। চেষ্টা করুন সকালে এই চালের ভাত মাড়সহ একবার খেতে, বিশেষ করে ৩ থেকে ১০ বছরের বাচ্চাদের জন্য বেশি প্রয়োজনীয়।
সঠিক ভাবে ভাত রান্নার জন্য নিচের প্রনালীগুলি অনুসরণ করুন:
১. যেহেতু এটা প্রাচীন পদ্ধতিতে তৈরী চাল সেহেতু দু-একটা পাথর থাকলেও থাকতে পারে, দয়া করে চালটা ধোয়ার আগে একটু দেখে নেবেন অথবা ২ নম্বর এ বর্ণিত সহজ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।
২. চাল ধুয়ে উপর থেকে তুলে অন্য একটা পাত্রে রাখুন, এভাবে তুলতে তুলতে সব চাল উঠে যাবে নিচে পাথর থেকে যাবে।
৩. চালকে তিন থেকে চার বারের বেশি ধোবেন না, বেশি ধুলে খাদ্যগুন নষ্ট হয়ে যাবে। যেহেতু এই চালে প্রিজারভেটিভস নেই সেহেতু কম ধুলে কোন সমস্যা নেই।
৪. জল কমপক্ষে ৫০-৬০ ডিগ্রী গরম হলে তবেই জলে চাল দেবেন।
৫. যদি একটু সাদা ভাত পছন্দ করেন তাহলে ভাত ফোটা শুরু হলে অর্ধেক পাতি লেবুর রস দিয়ে দিন।
৬. যদি স্বাদ বাড়াতে চান তাহলে পরিমান মতো লবন দিয়ে দিন।
৭. প্রেসার কুকারে ভাত রান্না করলে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বেশিরভাগ খাদ্যগুন নষ্ট হয়ে যায়।
৮. সম্ভব হলে পিতলের হাড়িতে ভাত রান্না করুন, ভাতের স্বাদ অনেক ভাল হবে। পিতলের হাড়িতে রান্না করলে ৫ নম্বরে বর্ণিত লেবুর রস দেওয়া যাবে না।
Add new comment